জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, ‘স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ১৫ বছর দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বানিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বক্তব্য হলো, দেশে সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই, সবাই বাংলাদেশী। তাই আমি মনে করি এদেশের সকল হিন্দু-খ্রিস্টান বৌদ্ধ যারা রয়েছে তারা সবাই বাংলাদেশি, সংখ্যালঘু নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে আছি, আগামীতেও থাকবো। আপনাদের যেকোন সমস্যা আমাদের জানাবেন। দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ অন্য কোন অনিয়মের খবর পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
এদিন সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখা এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর যৌথ আয়োজনে অনাড়ম্বর র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় হিন্দু ধর্মীয় শিশু-কিশোররা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা সেজে র্যালিতে অংশ নেয়। দেশে চলতি বন্যার কারণে দুর্গতদের সমবেদনা জানিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসবটি অনাড়ম্বর করা হয়।
আগে মন্দির প্রাঙ্গণে জেলা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মনিরুল হাসান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘বিগত দিনে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো আমরা তখন স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে ভাই ভাইয়ের মতো চলাফেরা করেছি। কোন হিন্দু ভাই-বোন নির্যাতনের শিকার হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময়েও আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে থেকেছি, এখনো আছি, আগামীতেও থাকবো। শেরপুরে এখন পর্যন্ত কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা নির্যাতন বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।’
এ সময় অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ পলাশ, আবু রায়হান রুপম, মো. আতাহার আলী, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান হবি, শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, আতাহার হোসেন আতা, সাইফুল ইসলাম।