আজ (রোববার, ১৮ আগস্ট) এখন টেলিভিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমন চৌধুরীর চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। গত ৫ আগস্টের পর 'হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট' শিরোনামে উদ্দেশ্যমূলক একটি প্রতিবেদনের মৌখিক অনুমোদন চায় ইমন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এ ধরনের কোনো কাজ না করতে তাকে সতর্ক করে নির্দেশনা দেয় অফিস। এরপরও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৮ আগস্ট একই বিষয়ে এখন টিভির লোগো সম্বলিত মাইক্রোফোন ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
বিষয়টি জানতে পেরে এখন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে মৌখিক শোকজ করে এবং দায়িত্ব পালনে বিরত রাখে। এরপর ভিন্নপথ বেছে নেয় সে। চাকরি হারানোর সংবাদ দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করে। তার প্রত্যক্ষ মদদে বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় দেশবিরোধী একটি চক্র।
এভাবে একের পর এক স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হয় সে। বাধ্য হয়ে ১৮ আগস্ট রোববার তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করে এখন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। সুতরাং আজ থেকে এখন টেলিভিশনের সঙ্গে ইমন চৌধুরীর কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে আজ সন্ধ্যায় একটি পোস্ট করেছেন ইমন চৌধুরী।
সবার উদ্দেশ্যে সেখানে তিনি লেখেন, ‘ফেসবুকে আজ সন্ধ্যা থেকেই দেখতে পাচ্ছি আমার একটি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটি সম্প্রদায়ের মানুষ নিউজ চ্যানেল এখন টিভিকে নিয়ে বিভিন্ন নেগেটিভ মন্তব্য করা হচ্ছে। আপনাদের কাছে রিকুয়েষ্ট আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কোনো পোস্ট করবেন না। এখন টিভির সাথে আমার সুসম্পর্ক থেকেই আমি জবটা ছেড়ে দিয়েছি। দয়া করে এটাকে নিয়ে কেউ অন্য খাতে নিবেন না। প্লিজ।’
উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ইমন চৌধুরী নিজ এলাকা পিরোজপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মারাত্মক মতবিরোধে জড়ায়। পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা চেষ্টারও নাটক সাজায় এবং চরমভাবে নিন্দিত হয়। স্থানীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এখন টেলিভিশনের ইমেজ। সে সময় তার পাঠানো সকল প্রতিবেদন দীর্ঘ দিন বন্ধ রাখা হয়। পরে অফিসের শৃঙ্খলা রক্ষার অঙ্গীকারের ভিত্তিতেই তাকে সতর্ক করে কর্মে ফেরানো হয়। তবে বছর পার না হতেই আবারও অফিসের শৃঙ্খলার পাশাপাশি নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সে।