কিছুদিন আগেও শেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনার মলিন ও বিবর্ণ দেয়াল যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। যেসব দেয়ালে একসময় বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক স্লোগানে ভরে থাকতো সেখানে এখন শিক্ষার্থীদের রং-তুলির আঁচড়ে ফুঁটে উঠছে গ্রাফিতি ও প্রতিবাদের বিভিন্ন স্লোগান।
'এসো শেরপুর সাজাই' গ্রুপের উদ্যোগে জেলার ডিসি গেইট, থানা মোড়, শাপলা চত্বর ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আঁকতে দেখা যায় নানা চিত্র। কেউ পেশাদার না হলেও তাদের রং-তুলিতে ফুটে তুলছেন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের চিত্র।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'যত দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো। এজন্য শেরপুর শহরের সবাইকে চাচ্ছি যে আমাদের সাথে এগিয়ে আসুক। ২০২৪ এ গণঅভ্যুত্থানটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।'
এসব গ্রাফিতি ও ক্যালিগ্রাফি অঙ্কনে বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও। ক্যালিগ্রাফিতে ছাত্র অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার পাশাপাশি উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'বাংলার পাশাপাশি আরবির সৌন্দর্যটা যেন আমাদের মাঝে ফুটে ওঠে। এজন্য আমরা কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা এই উদ্যোগ নিয়েছি।'
আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ হবে তা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এই উদ্যোগ।
শেরপুর সাজাই গ্রুপের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানি মাহিন বলেন, 'সবাই মিলে শেরপুর শহরটাকে সাজাতে চাচ্ছি। শেরপুরসহ সারাদেশে যত শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণে আমরা এগুলো করছি।'
বৈষম্যহীন নীতির বাস্তবায়নে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে গ্রাফিতি। যা বলা যায় না তাই যেন রং-তুলিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
সাম্য, সম্প্রীতির ও অসাম্প্রদায়িকতার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে শেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।