বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে রাতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লক্ষ্য, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে গণতন্ত্র নিশ্চিত করা। এরপর থেকেই মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। পুরো আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশের ক্ষমতার এই আকস্মিক পালাবদল নিয়ে সাড়া পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমে উঠে আসছে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক হেলেন লাফাভি ইউনূসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বলেও মার্কিন গণমাধ্যমে জানানো হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইউনূস গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এদিকে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ'র পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বরিল জানান, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি। তিনি বলেন, 'এই সংকটে বাংলাদেশে সুশাসন, গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এই সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে ইইউ।'
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, 'এই সরকারকে অবশ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে জাতিগত সংঘাত রোধে কাজ করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।'