কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ঘটে৷ তাতে শিক্ষার্থীসহ অনেকে নিহত হন। এসব ঘটনা বিবেচনা করে গত সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। একইসঙ্গে ডিবির হাতে আটক ৬ শিক্ষার্থীকে মুক্তির দেয়ার বিষয়টি আবেদনে বলা হয়।
রিটের ওপর কয়েক কার্যদিবস শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি না করার রিট খারিজ করে দেন। একসঙ্গেই পুলিশের উদ্দেশে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়। হাইকোর্ট বলেন, পুলিশ তাদের আইন মেনে যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিটকারিরা রাজনৈতিক উদ্দেশে রিট করেছে।
রিট খারিজ হলেও জনসাধারণের জন্য পুলিশের উদ্দেশে দেয়া উচ্চ আদালতের দেয়া বার্তা স্বস্তিদায়ক বলছেন রিটকারি আইনজীবীরা।
তবে কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে ছেড়ে দেয়ায় তাদের বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়া হয়নি।
রিটের ওপর কয়েক দিন শুনানি করে রিট খারিজ করে দিলেও কিছু পর্যবেক্ষণ দেন। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবি স্থির থাকে না। তারা ক্ষণে ক্ষণে দাবি তুলে দেন। এসময় আদালত বলেন, রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় পুলিশের দেয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।