ছয় সমন্বয়ক বা শিক্ষার্থীদের কবে নাগাদ বাসায় পাঠানো হবে— এ বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই তারা পরিবারের কাছে চলে যাবে। আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছি।’
‘জোরপূর্বক বিবৃতি’ নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। যারা গুজব ছড়িয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমার অনুরোধ- গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা, এখানে কাউকে জোর করে রাখা হয় না, কারো ওপর অত্যাচার করা হয় না। জোর করেও কোনো বিবৃতি নেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তারা (ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক) লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছে যে, সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। সে কারণে তারা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’
এ সময় ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়কারীর শারীরিক সুস্থতা প্রসঙ্গে ডিবির হারুন বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি তাদেরকে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে হেফাজতে রেখেছি। তারা আমাদের সাথে আছে। এই সমন্বয়কারীদের ঘিরে অনেক গুজব রটানো হচ্ছে। আমরাও তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন। তারা সুস্থ আছেন। আমাদের কাছে তারা ভালো আছেন।’
এর আগে সরকার মূল দাবি মেনে নেয়ায় গতকাল (রোববার, ২৮ জুলাই) সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ভিডিও বার্তায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এসময় আন্দোলনের আরও পাঁচ সমন্বয়কও সেখানে উপস্থিত ছিল।
সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার আহ্বানও জানান তারা। এছাড়া সহিংসতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান সমন্বয়ক নাহিদ।