দেশে এখন
0

বাঁশের কৃষি পণ্য রক্ষায় সরকারের সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা

বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়ে কৃষক পরিবারে। একইসঙ্গে বাড়ে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন কৃষি পণ্যের চাহিদা। এতে সাপ্তাহিক হাটে বেড়ে যায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্রের বেচা-বিক্রি। তবে এসব পণ্য তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই ছাড়ছেন এই শিল্প। তাই এই শিল্প রক্ষায় সরকারের সহায়তার প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের।

আউশ ধান রোপণের উল্লেখযোগ্য সময় মে ও জুন মাস। তাই তো মাঠে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষকদের। একইসঙ্গে চাহিদা বেড়েছে ডালা, কুলা, মাটিকাটার ওড়াসহ বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের।

তাই সাজি, ডালা, খাঁচা, টোনা, কুলা, চালইনসহ বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে নানা প্রান্ত থেকে সাপ্তাহিক হাট-বাজারে আসেন বিক্রেতারা। এখানে বেচাকেনা জমজমাট হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বেঁচাকেনা মোটামুটি পর্যায়ে আছে। বর্ষার সময়ে যখন ধান ভিজে যায় তখন চাহিদা বাড়ে। আবার যখন ধান পাকে তখন চাহিদা বাড়ে। এছাড়া তেমন চাহিদা নেই।’

জমিতে বপনের জন্য ধানের বীজ অঙ্কুর করানো, বীজ শুকানোসহ কৃষি কাজে প্রয়োজন বাঁশের তৈরি সাজি, ডালাসহ বিভিন্ন পণ্য। এছাড়া প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে সকাল থেকে হাটে ভিড় করেন আমন চাষি ও গৃহিণীরা।

একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাঁশের তৈরি সবকিছুই ভালো। সেজন্য প্রতি সপ্তাহের হাটে এসব কেনা হয়।’

বাঁশের তৈরি এসব পণ্য যতটা কৃষি বান্ধব, ততটাই পরিবেশ বান্ধব। তাই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হলে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

কলাপাড়ার কৃষি কর্মকর্তা আরাফত হোসাই বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, এই শিল্পী যারা আছেন তাদের যেন সহযোগিতা করা হয়। এবং এটা যেন আরও সম্প্রসারিত করা হয়, কারণ এটা কৃষির জন্য অনেক জরুরি।’

বাঁশের তৈরি এসব পণ্যের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। তাই কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সহযোগিতার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা হলে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএস