দেশে এখন
0

দু’দিন ধরে ভাসছে নগর পরিকল্পনার আঁতুড়ঘর বুয়েট

নগর পরিকল্পনার আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ভাসছে পানিতে। বৃষ্টির একদিন পর এখনো পানিতে থৈ থৈ অবস্থা শিক্ষার্থীদের হলগুলো। প্রধান প্রধান সড়কের পানি নামলেও, অলিগলিতে রয়ে গেছে জলাবদ্ধতা। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।

চারদিকে থৈ থৈ পানিতে থাকতে হয় বুয়েটের স্টাফ কোয়াটারের বাসিন্দাদের। এই থৈ থৈ পানিই জানান দেয় কতটা শোচনীয় অবস্থা এখানকার বাসিন্দাদের। গতকাল (শুক্রবার, ১২ জুলাই) সকালে হওয়া ঝুম বৃষ্টির পানিতে এখনও তলিয়ে রয়েছে বুয়েটের শিক্ষক-স্টাফ কোয়ার্টারসহ একাধিক ছাত্রাবাস।

বুয়েটের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, 'এত কষ্টের পরও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এত বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারদের জায়গা এখানে, সেটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই, তাদের কোনো ভাবনাই নেই। প্রতি বছরই এরকম দুর্ভোগে আমাদের পরতে হচ্ছে।'

বছরে দু-একবার হাঁটু জলে ভাসতে হয় জানিয়ে কোয়াটারের বাসিন্দারা বলছেন, অল্প বৃষ্টিতে ঘরের ভিতর ও বাইরে একই চিত্র হয়। নষ্ট হয় আসবাবপত্রসহ জরুরি জিনিস।

একজন বাসিন্দা বলেন, 'ওভারফ্লো হওয়ার আগেই নিচ দিয়ে পানি এসে ভরাট হয়ে যায়। আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়, হাজার হাজার টাকার ফার্নিচার নষ্ট হয়ে যায়। এগুলো সরানোর কোনো ব্যবস্থা থাকে না, তখন নষ্ট হয়ে যায়।'

বুয়েটের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে দাবি বুয়েটের টেকনিক্যাল এমপ্লয়ি অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনটি বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে দরকার আধুনিক পরিকল্পনা।

বুয়েট টেকনিক্যাল এমপ্লয়ি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি খন্দকার গোলাম সিদ্দিকী বলেন, 'কর্তৃপক্ষকে আমরা বিভিন্নভাবে জানিয়েছি। আমাদের আঙ্গিকে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। তারা আমাদের পরামর্শ গ্রহণ না করে আমাদের জানায় যে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে।'

এদিকে, শুক্রবারের বৃষ্টির পর অধিকাংশ স্থানের পানি সরে গেলেও রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়।

গলির সড়কে জলাবদ্ধতার চিত্র সারাবছরই থাকে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসিরা। শিগগিরই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন চান তারা।

এসএস