বেসরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন নিয়ম ২০০৫ সাল থেকে চালু করে সরকার। এখন পর্যন্ত এই নিয়মে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষক বেসরকারিভাবে নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে পঞ্চমবারের মতো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সাথে সবশেষ জুনে ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালে এনটিআরসিএকে সুপারিশের সক্ষমতা দেয়া হলে বিভিন্ন বিষয়ে মামলা করেন প্রার্থীরা। সেসব মামলায় বিভিন্ন সময়ের রায়ের বিপরীতে আপিল করে সংস্থাটি।
এতে কোর্ট সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি নিয়ম বেধে দেয়। যেখানে সনদের মেয়াদ তিন বছর ও বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। সেই সাথে ২০১৫ সালে এনটিআরসিএর বিধিতেও সনদের মেয়াদ তিন বছর করা হয়েছে।
এদিকে নিবন্ধিত হয়ে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেছেন অনেকে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সনদের মেয়াদ বা বয়স না থাকায় পাননি নিয়োগ। এতে এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে উঠে নানা অভিযোগ। যা সঠিক নয় বলে জানায় সংস্থাটি। আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
শিক্ষক নিবন্ধনের প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন আইন ও নিয়ম অনুযায়ী সনদের মেয়াদ বা বয়স না থাকলে সুপারিশ করার সুযোগ নেই। শর্ত দু'টি পূরণ না হলে এ বিষয়ে আবেদনও করা যাবে না। তাই যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়।
তবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সনদের মেয়াদ ও বয়স শেষ হলেও চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান এনটিআরসিএর সচিব।
সেই সাথে সনদের মেয়াদ ও বয়স থাকলে এনটিআরসিএ যাদের সুপারিশ করে তাদের নিয়োগ দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাধ্য বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।
শর্ত পূরণ হলে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করতে এনটিআরসিএ বাধ্য বলে জানায় তারা।