কোটা পদ্ধতি সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ২য় দিনেও অবরোধ করা হয় শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, নিউমার্কেট, বাংলামোটরসহ বেশ কিছু এলাকার প্রধান সড়ক। তাতে বন্ধ হয়ে যায় এসব এলাকার যান চলাচল। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের।
রাজপথে মিছিল, স্লোগান। একপ্রকার অবরুদ্ধ শাহবাগ, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেট ও এর আশপাশের এলাকা।
বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ২য় দিন। কোটা সংস্কারের দাবিতে সোমবার সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয় মিছিল। বিভিন্ন হল আর বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে।
এদিন মিছিল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মধুর ক্যান্টিন হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে থামে শাহবাগে এসে। একাংশ অবস্থান নেয় বাংলামোটর ও ফার্মগেটে। দাবি ছিল একটাই কোটা পদ্ধতির সংস্কার।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৫৩ বছর পার হয়ে গেছে এখন এই কোটার প্রয়োজন হয় না। এই কোটা রাখার মানে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করা।'
শিক্ষার্থীদের চাওয়া, সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে, সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীদের কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে হোক আইন পাশ। বাংলাদেশে নারীরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, নারীদের প্রয়োজন নেই আলাদা কোটার, বলছেন আন্দোলনে আসা ছাত্রীরা।
নারী শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'আমি কোটা চায় না। আমি চায় নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাবো। নারী বলে আলাদা কোনো কোটা চায় না।'
শিক্ষার্থীদের দাবি না আদায় হলে, আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন, কোটা বিরোধীরা।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, 'সমাজে এগিয়ে আসার জন্য কিছু কোটা থাকা দরকার সেটাও আলোচনা সাপেক্ষে কোটা রাখার দরকার কিন্তু সেটার নূন্যতম থাকা উচিত।'
কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সারাদেশের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।