বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৭ জনের আবেদনটি করা হয়েছে।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গেল বুধবার (৩ জুলাই) অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার আদালত।
গত ১২ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ও আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখও ধার্য করেছে আদালত।
মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে সেদিন আদালতে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্য আসামিরা। সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। লোহার খাঁচায় দাঁড় করিয়ে রাখাও অপমানজনক বলে মনে করেন ইউনূস। আর তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
সেদিন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, ড. ইউনূস শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তা আদালতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে দুদক। মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাই বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
১লা ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়৷ মামলার অভিযোগে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮ তম বোর্ড সভায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়া হয়। এই টাকা থেকে শ্রমিকদের পাওনা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ড. ইউনূসসহ আসামিরা আত্মসাৎ করেছেন।