এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'একদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমকে বিস্তৃত করবেন, তার পরিসর বাড়াবেন, গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থা করবেন, অন্যদিকে একটা গোষ্ঠী তার বিপক্ষে গণমাধ্যমে অসত্য কথা বলে যাবেন, এটা হতে পারে না। কাজেই আমি অনুরোধ জানাবো দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা সকল মিথ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করুন। আপনারা অপপ্রচারের বিপক্ষে সবাই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষে থাকুন। অবশ্যই সরকারের ব্যর্থতা-বিচ্যুতির সমালোচনা করবেন। এটা সরকার স্বাগত জানাবে। কিন্তু মিথ্যাচারের মাধ্যমে সমালোচনা করলে সেটা মেনে নেয়া হবে না, সত্য তুলে ধরে জবাব দেয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'এ দেশে মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। গত কিছুদিন ধরে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন, সমঝোতা স্মারক করে এসেছেন, চুক্তি করে এসেছেন যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন যাবে, বাংলাদেশকে বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন, এ ট্রেন দিয়ে গোলাবারুদ যাবে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে ভারতের অপর প্রান্তে এবং বাংলাদেশ একটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। বিরোধীদলের কিছু নেতারা টকশোতে এসব কথা বলেছেন। অথচ এই সমঝোতা স্মারকে আছে ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন চলবে এবং বাংলাদেশের ট্রেন ভারতের ওপর দিয়ে চলে নেপাল-ভুটানে যাবে। নেপাল ও ভুটানের সাথে আমাদের ৫০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আছে। এ সত্য কথা কেউ বলে না। সমঝোতা স্মারকে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের গ্রিড লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে আমদানি করে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। যেটা বাংলাদেশের মানুষ ব্যবহার করবে।'
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, 'মিথ্যা বলে কেনো বিরোধিতা করতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেনো বিরোধিতা করতে হবে? এতে মানুষকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, এটা অপরাধ। অথচ বর্তমান সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণমাধ্যমবান্ধব বলেই তিনি গণমাধ্যমের বিস্তৃতির শুধু সুযোগ করে দেননি, গণমাধ্যমকে বিস্তৃত হওয়ার জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন, পরিবেশ তৈরি করেছেন। গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা খুব একটা তুলে ধরতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং এই কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দল মত নির্বিশেষে সত্যিকার অর্থে দুস্থ সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রচেষ্টা, সেটিই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমবান্ধব সরকার। কাজেই যারা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে অপপ্রচার করার চেষ্টা করে, এই তথ্যগুলো তুলে ধরে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।'
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে ২৯৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত ৩ হাজার ৯৪১ জন সাংবাদিক এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা বা কল্যাণ অনুদান বাবদ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। —সংবাদ বিজ্ঞপ্তি