নানা ঘাত প্রতিঘাত আর চড়াই উতরাই পেরিয়ে ২২ বছর অতিক্রম করলো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগ। সেই যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বক্তব্যে সারাদেশে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এভাবে আন্দোলন করা এটাতো সাবজুডিস। কারণ আমরা সরকারে থেকে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারি না। কারণ হাইকোর্ট রায় দিলে সেটা হাইকোর্ট থেকেই আবার আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে একটা কথা আমি না বলে পারছি না। আমরা দেখছি যে কোটা আন্দোলন চলছে, সেখানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে কোটা সেটা বাতিল করতে হবে। নারীদের কোটা বাতিল করতে হবে, এ ধরনের নানা কথা শোনা যাচ্ছে। সেটা একবার বাতিল করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফলটা কী?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার হিসাব যদি দেখা যায়, তাহলে দেখা যেত আগে কোটা থাকাতে মেয়েরা যে সংখ্যায় সুযোগ পেত সে সুযোগ কিন্তু এই গত কয় বছরে পায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা।’
যারা আগে কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদের কয়জন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কতজন পাস করেছে? বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘এই হিসাবটা একটু বের করা দরকার। তারা দেখাক যে পরীক্ষা দিয়ে তারা বেশি পাস করেছিল, মেয়েরা বেশি পরীক্ষা দিয়ে বেশি চাকরি পেয়েছে কিনা? সেটা আগে তারা প্রমাণ করুক।’
আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আন্দোলনের নামে যেটা আবার করা হচ্ছে পড়াশোনার সময় নষ্ট করা এটার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
এ সময় তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিরোধিতা না করে এর সাথে যুক্ত হতে রাজনৈতিক নেতাসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'কাউকে বঞ্চিত না করতেই স্তরভেদে পেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
নারী নেত্রীদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, 'নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে দেশও এগিয়ে যাবে।' পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও দেশ গঠনে এগিয়ে আসার কথাও বলেন তিনি।
পরে যুব মহিলা লীগকে শক্তিশালী করতে আরও সুসংগঠিত হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।