স্বল্প আয় আর মূল্যস্ফীতির চাপে মলিন সুজন-শাহিনুর দম্পতির জীবন। রিকশা চালিয়ে দিনের আয় ১৩০ টাকা আর আগের সঞ্চয় মিলিয়ে কিনেছেন ভাসমান বাজারে কোরবানির মাংস।
তারা বলেন, দোকান থেকে মাংস কিনার ক্ষমতা নাই। অনেক দাম নেয়। তাই এখান থাইকা কিনি। বছরে দুই একটা দিন ভালো মন্দ খাই।
এদিকে নীলফামারীর মুজিবুল হক নামে এক কসাই ১১ জনের দল নিয়ে মিরপুর আসেন কোরবানির মাংস প্রস্তুত করতে। কাজ শেষে নগদ টাকা সঙ্গে মালিকের দেয়া পশুর মাথা, চামড়া, চর্বি ও হাড় ভাসমান বাজারে কেজিতে বিক্রি করছেন ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর এসব মাংস কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ আর হোটেল ব্যবসায়ীরা।
মৌসুমি কসাইরা বলেন, শুধু আয়-উপার্জনের জন্য নয়, আনন্দ পেতেও আমরা এই কাজ করি। তবে এবার সংগ্রহ কোরবানির মাংসের দাম গতবারের তুলনায় বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় মাংস কিনতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ।
দ্রব্যমূল্যের চড়া বাজারে এবার সংগ্রহ করা কোরবানির মাংসের দাম অনেকটা বেশি।