দেশে এখন
0

'সব হজযাত্রীর ভিসা নিশ্চিত করতে পারাটা সফলতা'

সকল হজযাত্রীর ভিসা আমরা নিশ্চিত করতে পারাটা একটা সফলতা বলে জানিয়েছেন জ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি জনাব এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম। সব হজযাত্রীর ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পর আজ (সোমবার, ১০ জুন) সকালে তিনি এ কথা বলেন।

শাহাদাত হোসাইন বলেন, 'শেষ পর্যন্ত সকল হজযাত্রীর ভিসা আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি, সেটাই সফলতা। হজযাত্রীর টাকা ব্যাংকে আটকে ছিল। সেখানে তাদের গাফিলতি ছিল। পরে সমস্যার সমাধান হয়েছে।'

যদিও শেষ পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সমাধান হয় সেই সমস্যার। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও হজ ক্যাম্প পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান দুজনেই বলছেন হজ কার্যক্রম শেষ হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে ব্যাংক গুলোর বিরুদ্ধে। 

চলতি বছর বড় কোন সমস্যা ছাড়াই শেষ হতে যাচ্ছে হজযাত্রা। যদিও ভিসা জটিলতা মাঝপথে শঙ্কা তৈরি করেছিল। তবে কেটে গেছে সেই অনিশ্চয়তা।

এছাড়া নিবন্ধনের টাকা জমা নেয়া ব্যাংক গুলোরও গাফিলতিও ছিল। নিয়ম অনুযায়ী, হাজযাত্রীর টাকা ব্যাংক গুলো অন্য খাতে ব্যবহার করতে পারবেনা। কিন্তু টিকিট কাটার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে কয়েকটি ব্যাংক টাকা দিতে গড়িমসি করে। শেষ পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে সমাধান হয় সেই সমস্যার।

হজযাত্রার সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, 'সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। ব্যক্তিগত কারন ছাড়া কারও হজে যেতে সমস্যা নেই। ভিসা জটিলতার দায় চাপালেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে। এজেন্সি গুলোর মোনাজ্জেম ভিসা সময়মতো দেয়নি মন্ত্রণালয়। তাই সময়মতো বাড়ি ভাড়া করতে না পারার কারনেই এই জটিলতা।'

হাব সভাপতি বলেন, 'হজ কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভিসা হবে, ফ্লাইট হবে। যেহেতু একমাস ধরে ফ্লাইট চলমান ছিল।  এক্ষেত্রে আমাদের মূল্য লক্ষ্য ছিল এজেন্সিগুলোকে মনিটরিং করা হাব সেটা করেছে। সৌদি আরবেও আমাদের মনিটরিং টিম রয়েছে। '

হজ ক্যাম্পের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'হজ কার্যক্রম শেষ হবার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই আইন ভঙ্গ করা এজেন্সিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আওতার বাইরে থাকবেনা টাকা দিতে গড়িমসি করা ব্যাংক গুলোও।'

গত কাল পর্যন্ত ১৯৩ ফ্লাইটে সৌদি পৌছছেন প্রায় সাড়ে ৭৬ হাজার হজযাত্রী।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর