বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে জাতিসংঘ বিশ্বের সংঘাতময় ও বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগ করে। আজ সেই সব বীরদের দিন অর্থাৎ 'আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।'
গত ৩ দশক ধরে শান্তি মিশনে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মাত্র ১৫ জন থেকে শুরু হয়ে ১,৯৪,৮৫৬ জন সদস্য ৪৩ টি দেশে কাজ করেছে। প্রাণ ঝরেছে ১৬৮ জনের। নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ এ যাবত ৩,০৩৮ জন। বিশ্বে বাংলাদেশকে করেছে গর্বিত অংশীদার।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। শুরুতেই মিশনে আহত তিন সদস্যদের মাঝে সম্মাননা প্রদান করেন। এরপর মিশন সংক্রান্ত জার্নালের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, 'বর্তমানে বিশ্ব শান্তি রক্ষা এখন কঠিন। বাংলাদেশ সংঘাত নয় আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পক্ষে। বিশ্বব্যাপী শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রস্তুত করা হচ্ছে।'
বিশ্বব্যাপী সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'অস্ত্র প্রতিযোগিতা যতই বাড়ছে ততই বিশ্ব শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। অস্ত্রের পেছনে এতো ব্যয় না করে শিক্ষা ও চিকিৎসার পেছনে খরচ করুন।'
মূল পর্ব শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের খোঁজ-খবর রাখেন শেখ হাসিনা।