এখন ভোট
দেশে এখন
0

নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ বাড়লেও আয়করে অংশগ্রহণ বাড়ছে না: টিআইবি

বছর যেতে যা যেতেই নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সম্পদ ফুলেফেঁপে উঠলেও আয়করে অংশগ্রহণ মাত্র ৪২ জনের। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদপ্রার্থীদের শীর্ষ ১০ ঋণগ্রস্ত প্রার্থীর দায় বা ব্যাংকঋণ রয়েছে ৭২৫.৭৭ কোটি টাকা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৬৩ শতাংশ ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০ গুণ সম্পদ বেড়েছে, যা অস্বাভাবিক বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫২টি ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় নির্বাচন হয়। আর এই দুই ধাপেই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী। তৃতয়ী ধাপে এসেও সে সংখ্যায় খুব একটা পেরফের নেই। এ পর্বের চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরও ৬৬ শতাংশ ব্যবসায়ী। এসব প্রার্থীদের আয় আছে, দায় আছে, তবে নেই তুলনা করার মতো করদাতা।

তৃতীয় ধাপে অংশ নেয়া ১৬০ জন প্রার্থী বছরে ১০ লাখ টাকা আয় করলেও কর দাতার সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য তুলে ধরে টিআইবি।

এবার অংশ নিচ্ছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সম্পদ বেড়েছে ১০ গুণের বেশি। সর্বোচ্চ ব্যাংক ঋন বা দায়ের পরিমান প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা। হলফনামায় শীর্ষ ১০ ঋনগ্রস্থ প্রার্থীর দায় বা ব্যাংকঋন ৭২৫ কোটি টাকার বেশি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, জনপ্রতিনিধি প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য বেড়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে আয় বাড়বে সেটি প্রত্যাশিত।

তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় গেলে সব ধরণের আয় বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি পায় তার প্রতিফলন ঘটছে। আয় বাড়বে সেটি প্রত্যাশিত, তবে অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ১০ গুণ বেড়েছে সম্পদ। অস্বাভাবিক আয় বৃদ্ধি হলে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর পর্যবেক্ষণের দায় বর্তায়।'

এছাড়া হলফনামা পর্যালোচনায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮ শতাংশ নিজেদের গৃহিনী ও গৃহস্থলিকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন যাদের সাড়ে ১৪ শতাংশের আয় আসে ব্যবসা থেকে।