এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইটের যাত্রী, তাই মায়ের সঙ্গে শেষ মুহূর্তে কাগজপত্র দেখে নিচ্ছেন মো. আলভীর। প্রথম ফ্লাইটে স্থান পাওয়ায় শুকরিয়া জানালেন রবের প্রতি।
আলভীর বলেন, 'আমি মনে করি এটা আমার সৌভাগ্য, যে আমি প্রথম ফ্লাইটেই যেতে পারছি। আল্লাহ আমাদের এ যাত্র কবুল করুক।'
প্রথম দিনে সাতটি বিমানযোগে দেশ ছাড়বেন ২ হাজার ৫০০ এরও বেশি হজযাত্রী। তাই বুধবার রাত থেকেই মুখরিত ছিল আশকোনা হজক্যাম্প।
রুট-টু-মক্কা সার্ভিসের আওতায় এবার হজযাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন ও লাগেজ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে আশকোনা হজ ক্যাম্পেই। সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট হজ গমনেচ্ছুরা।
একজন হজযাত্রী বলেন, 'সরকার যে সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছেন। আমি আশা করি ও বিশ্বাস করি আমাদের হজযাত্রা শুভ ও ভালো হবে।'
সৌদিয়া এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইটেই মক্কারো পথে যেতে পেরে আনন্দিত হজযাত্রীরা। বললেন, হজের প্রার্থনায় থাকবে পরিবার, দেশ এবং সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ্।
অন্য একজন হজযাত্রী বলেন, 'দেশের মঙ্গল কামনা করবো। মানুষের শান্তি কামনা করবো। সকলের সুখ শান্তির জন্য অবশ্যই দোয়া করবো।'
এদিকে সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ সময় হজযাত্রীদের সব ধরনের সেবা দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, 'আল্লাহর মেহমানদেরকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা থাকতে হবে। প্রত্যেকের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আছে। যার যার আঙ্গিকে আমরা সে দায়িত্ব সুন্দর সুষ্ঠুভাবে পালন করবো। তাদের যাত্রাটা শুভ হোক। হজ পালন করে আবার সুস্থ্য স্বাভাাবক শরীরে দেশে ফিরে আসুক আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি।'
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি যাওয়ার কথা রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ই জুন পবিত্র হজ। ১০ জুন পর্যন্ত চলবে হজযাত্রী পরিবহন করবে বিমান। ২০ জুন থেকে ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন হাজিরা।