দেশে এখন
0

কুষ্টিয়ার কলার হাটে দিনে কোটি টাকার বেশি বেচাকেনা

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী কলার হাট কুষ্টিয়ার মধুপুরে। যেখানে গত ৪০ বছর ধরে চলে বেচাকেনা। আর এখন দিনে প্রায় কোটি টাকার বেশি কলা বেচাকেনা হয়। তবে স্থান সংকট ও সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিক্রেতাদের।

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়েকের কোল ঘেঁষে ৪ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী মধুপুর কলার হাট। ভোরে সূর্য ওঠার সাথে সাথেই স্থানীয় বাহনে নিজেদের উৎপাদিত কলা নিয়ে এই হাটে আসেন কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলার কৃষকরা।

চাষিরা বলছেন, সার ও তেলের দাম বাড়ায় কলা উৎপাদনের খরচ বেড়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় তাদের কপালে দেখা যায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

এক চাষি বলেন, ‘সার ও তেলের দাম বেশি। কলা উৎপাদন করে বাজারে আনার পর তেমন দাম পাচ্ছি না। এজন্য আমরা লাভও করতে পারছি না।’

কলা কিনতে প্রতিদিন সকাল থেকে এই হাটে ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বেপারিরা। পরে ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন জায়গার বাজারগুলোতে এখানকার কলা চলে যায়। তবে জায়গার সংকট ও সংস্কারের অভাবে নানা সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বেপারিরা।

এদিকে চাষীদের কলা চাষে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন হাট কর্তৃপক্ষ। মধুপুর কলার হাটের মালিক জামিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় সবরি কলা নেই বললেই চলে। তাই এই কলার উৎপাদনে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রুপালী খাতুন বলেন, ‘আমরা চাষিদেরকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।’

জায়গার সংকটসহ সমস্যাগুলোর সমাধান হলে আরও জমজমাট হবে এই হাটের বেচাকেনা, এমনটাই মনে করেন চাষি ও বেপারিরা।