বিয়ের বাদ্য বা সানাইয়ে যখন পরিবারের সদস্যদের আনন্দ-হুল্লোর যোগ হয়, তখনই তৈরি হয় উৎসবের ঐকতান। বিয়েবাড়ি ঘিরে কাছের দূরের আত্মীয়-বন্ধুর সম্মিলন তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় দেখা না হওয়া স্বজনকে কাছে পাওয়ার উপলক্ষ্য হয়ে উঠে বিয়ে। বিয়ের উৎসবের লগ্ন তৈরি হয় যদি আরেক উৎসবকে ঘিরে, তবে বিয়ে বাদ্য ও আলো যেন আরও চমক বাড়ায়। শহরে-গ্রামে ঈদকে ঘিরে জড়ো হওয়া স্বজনদের বোনাস হয়ে ওঠে বিয়ের নিমন্ত্রণ। ঈদ বাজারের পর, বিপনী-বিতানে এখন বিয়ের কেনাকাটার ভিড়।
বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষের জন্য গেট সাজিয়ে অভ্যর্থনা দিচ্ছে কনেপক্ষ। ছবি: এখন টিভি
কারও বাগদান হয়েছে আগেই এখন শুধু প্রস্তুতি আনুষ্ঠানিকতার। কারও আবার চলছে বাগদানের প্রস্তুতি।
বিয়ের জন্য বাজার করতে আসা একজন বর বলেন, 'ঈদের ছুটি আছে, সাথে সবাই এখন ফ্রি, সবাই ছুটিতে আছে। এ সময়ে সবাই আসতে পারবে, সেজন্য এ সময়ে আয়োজন করা হয়েছে। কাবিন এক বছর আগেই হয়েছে। এখন বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে।'
বিয়ের আচারে যতোই বৈশ্বিক মিশ্রণ ঘটুক না কেন, ডালা-কূলোর কদর কমেনি মোটেও। সঙ্গে পুরনো রেওয়াজের টুকিটাকি কিনতে হয় মেহেদী বা গায়ে হলুদ পর্বের জন্য। বর-কনের পোশাকের পাশাপাশি স্বজন-বন্ধুদের জন্য পোশাক কেনা, তৈরির চলতো নতুন নয়, আগেও ছিল।
একজন বিক্রেতা বলেন ,'রোজার শেষ দিকে ভালো একটা বেচাকেনা গেছে। এখন ঈদের পর বিয়ের জন্য ক্রেতাদের চাপ আছে।'
বিয়েতে নতুন বউয়ের সাথে ছবি তুলছেন সবাই। ছবি: এখন টিভি
তবে শাড়ি, শেরওয়ানি ও অন্য পোশাকের তুলনায় মন্দায় রয়েছে স্বর্ণের বাজার। স্বর্ণের ভরি লাখ ছাড়ানোর পর থেকে যেনো বিবাহের মৌসুমেও আগের মতো বেচাকেনা নেই।
একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, 'আগে যেকোনো বিয়েতে মানুষ ছোট কিছু হলেও স্বর্ণের জিনিস নিয়ে যেতো। এখন দাম বেড়ে যাওয়ায় একদম প্রয়োজন না হলে স্বর্ণ কিনতে আসে না।'
রমজান, ঈদ পেরিয়ে কমিউনিটি সেন্টারগুলো সরব হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই থাকছে কোনো না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সেই সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে ডেকোরেটর থেকে শুরু করে বিবাহের অনুষ্ঠানে রান্নার মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা কাজ করেন তাদেরও।
বিয়ের ফর্দের সাথে জড়িয়ে আছে এমন আরও অনেক খাত। বিয়ের ফুলের ফোটার সৌরভ পাচ্ছেন সেই খাতের ব্যবসায়ীরাও।