দেশে এখন
0

'নাবিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল জলদস্যুরা'

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজের মুক্তি দেওয়ার শেষ মুহূর্তে ৪ থেকে ৫ জন নাবিককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মালিকপক্ষ এবং সরকারের বিচক্ষণতায় সেটা করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

আজ (সোমবার, ১৫ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

একপাক্ষিক কোনো আলোচনায় নাবিকদের মুক্তি দেয়নি জলদস্যুরা। বিভিন্ন দেশের বহুমাত্রিক চাপের জন্য তারা নাবিকসহ জাহাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'জাহাজ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তে দস্যুরা ৪ থেকে ৫ জন নাবিককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল তাদের ওপর বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আছে। কিন্তু মালিকপক্ষ এবং সরকারের বিচক্ষণতায় তারা এটি পারেনি। কারণ আমরা যখন বুঝতে পেরেছি, তখনই ইউরোপীয়ান নেভাল ফোর্সকে মেইল করেছি। তারা সাথে সাথেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে।'

সোমালিয়ার যে অঞ্চলে এ রকম জাহাজ জিম্মি হওয়ার ঘটনা ঘটে সে অঞ্চলের বিষয়ে সোমালিয়ার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, 'সমুদ্রের যে অংশে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ঝুঁকি আছে, সে অংশে নিরাপদে জাহাজ চলাচলের জন্য সোমালিয়ার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলছে। তারা চায় কিভাবে সব জাহাজ নিরাপদে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।'

নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আসার ব্যাপার পুরোটাই মালিকপক্ষের উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'মালিকপক্ষ যেভাবে চাইবে সেভাবে নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে আমার সাথে যখন কথা হয়েছে তখন জানতে পেরেছি তারা দুবাই থেকে এয়ারে করে নাবিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এবং তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেবে। জাহাজটি দুবাইয়ে পৌঁছাতে ১৯ বা ২০ তারিখ হয়ে যাবে।'

সোমালিয়ার গণমাধ্যমে জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের কথা বলা হলেও এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী কিছু জানেন না বলেছেন তিনি।

২০২১ সাল পর্যন্ত এ জাহাজে আর্মস গার্ড ছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর্মস গার্ড বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে এ জাহাজটি থেকে। আর্মস থাকলে তারা জাহাজের কাছে আসার সাহস করতো না।

নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাই সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল বলে জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, 'নাবিকদের সুস্থ্যভাবে নিরপদে কিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় এটাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় আমরা দ্রুত তাদের মুক্ত করতে পেরেছি। তিনি সবসময় খোঁজখবর নিয়েছেন।'

এদিকে ঈদের দিন লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সদরঘাটে ৫ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, 'যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সে লঞ্চে রুট পার্মিট বাতিল করা হয়েছে।'

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এমভি আবদুল্লাহ।

গত শনিবার (১৪ এপ্রিল ) দিবাগত রাত তিনটার পর জিম্মি করে রাথা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় সোমালিয়ান জল

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর