তিমির হননের গান কবিতার পংক্তি থেকে 'আমরা তো তিমির বিনাশী' প্রতিপাদ্য নিয়ে চলছে বাংলা-১৪৩১ সনকে বরণের প্রস্তুতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এবার কাজ হচ্ছে পাঁচটি মোটিফ নিয়ে। বর্ষবরণের প্রস্তুতি দেখতে চারুকলায় আসছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
চারুকলার পাশাপাশি নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত ছায়ানট। রমনার বটমূলে সকাল ১০টা থেকেই ছায়ানটের শিল্পীদের অংশগ্রহণে চূড়ান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও পারস্পরিক দুরত্ব ভুলে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে মানুষের জয়গান গাইবে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে আসেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিএমপির'র কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াটসহ ডিএমপির অন্যান্য ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, 'অনুষ্ঠান স্থানের আশপাশ এলাকা, অনুষ্ঠান শুরুর আগে সুইপ করা হবে এসবির ইকুইপমেন্ট দিয়ে। প্রত্যেকটি প্রবেশমুখে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাসি করা হবে। এছাড়া এর ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তৎপর থাকবে।'
এরপরই একই এলাকা পরিদর্শনে আসে র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন। তিনি বলেন, কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সারা দেশে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি করছে। যে কোনো গুজব ঠেকাতে সাইবার মনিটরিং টিম কাজ করছে বলেও জানান র্যাবের ডিজি।
তিনি বলেন, 'গোয়েন্দা তথ্য সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। নববর্ষকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের গুজব, হয়রানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সবসময় নজর রাখছে।'
একদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন, অন্যদিকে এই ছায়ানটের সাংস্কৃতিক আয়োজন। ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রস্তুতি জানান দিচ্ছে কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে পুরোনো একটি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন একটি বছরকে সকল জড়াজীর্ণতা ভুলে গিয়ে গ্লানি মুছে দিয়ে বরণ করে নেয়ার প্রস্তুতিতে এই আয়োজনগুলোতে দলে দলে যোগ দেবেন বাঙালিরা।