আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় এবং অনেকে গতকাল (মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল) ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ায় দু'দিন আগেই ঢাকা ছেড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। অন্যদিকে গতকাল গার্মেন্টস ছুটি হয়ে যাওয়ায় পোশাক শ্রমিকরা রাতেই ঢাকা ছেড়েছেন। সেজন্য আজ সকাল থেকে সড়কে মানুষের খুব একটা ভিড় নেই। সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল করছে। কোথাও কোনো যানযট নেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন মহাসড়ক দিয়ে যানজট ছাড়াই ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে দুরপাল্লার বাসগুলো। তবে সড়কের পাশে যে ছোট লেনটি রয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট জটলা। যাত্রীর চাপ কম থাকায় গাড়িগুলো সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করছে।
এছাড়া ট্রেনেও বেশ সস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। রোজা ৩০টি হওয়ায় বাড়ি ফেরার জন্য একদিন সময় বেশি পেয়ে অনেকেই আজ ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। আন্তঃনগর ট্রেনে কোনো সমস্যা না হলেও মেইল বা কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা একটি টিকিট কিনতে গেলে কাউন্টার থেকে তাদের তিনটি বা চারটি টিকিট ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
একজন যাত্রী বলেন, 'আমরা সাতজন যাবো। আমি সাতজনের টিকিট করতে চাইলে আমাকে ১৪টি টিকিট দিয়েছে। নিতে চাইছিলাম না। বলে ১৪ জনের টিকিট করলে তাহলেই সাতজন যেতে পারবো। না হলে ট্রেনে সিট পাবো না।'
কাছের যাত্রীদের জন্য দূরের যাত্রীরা না কি যেতে পারে না, সেজন্য রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এটি করতে বলেছে বলে জানিয়েছে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টার থেকে। এমনকি ঈদের দু'দিন পর্যন্ত তারা এটি করবে বলেও জানায় তারা।
এদিকে বাস বা ট্রেনে যেমন মানুষ যাতায়াত করে তেমনি লঞ্চেও অধিক পরিমাণ মানুষ চলাচল। সেখানেও গত দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল ১০টার পর থেকে ভিড় কম। যদিও লঞ্চ মালিকরা আশা করছেন দুপুরের পর বিকেল থেকে যাত্রীদের ভিড় হবে।
গতকাল সারাদিনে ৮৮টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেলেও আজ সকাল থেকে ছেড়েছে মাত্র ২৮টি। আজ শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে লঞ্চ মালিকরা।