সময় ও খরচ বাঁচাতে খোলা ট্রাক-পিকআপে ঘরমুখো মানুষ

এখন জনপদে
0

ঈদুল ফিতরে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে ঘর মুখো হচ্ছে মানুষ। এতে করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। যানবাহনের চাপ থাকলেও মহাসড়কে নেই যানজট। অনেকেই খরচ বাঁচাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ট্রাক-পিকআপে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও পুরুষ।

আজ (শনিবার, ২৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যাত্রীরা খোলা ট্রাক-পিকআপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকেই খরচ বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক-পিকআপ করে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।

আফরোজা আক্তার নামের এক ট্রাকের যাত্রী বলেন, 'বাসে আসলে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। বাসে তেমন আসা যাচ্ছে না। গাড়ি ভর্তি থাকায় উঠাতে চাই। বাসে নিতে চাইলে দ্বিগুণ ভাড়া চাই। এইজন্য ট্রাকে করে সিরাজগঞ্জ চাচ্ছি। খরচ কম লাগতেছে।'

লতিফ মিয়া নামের আরেক ট্রাক যাত্রী বলেন, 'আমি ঢাকা থেকে আসলাম,রংপুর যাব। ট্রাক করে যাইতেছি বাস গাড়ির খুবই সংকট। বাসে ভাড়াও বেশি চাই।বাসে না এসে ট্রাকে করে যাচ্ছি। ট্রাকে ভাড়া নিতেছে কম। তাই ট্রাকে করেই যাচ্ছি। শুধু আমি না অনেকেই ট্রাক-পিকআপে করে যাচ্ছে।'

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শরীফ বলেন,শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।যানবাহনের চাপ থাকলেও এখনো কোনো যানজট হয়নি। স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। হাইওয়ে পুলিশ নিরলস ভাবে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।

ইএ