এদিকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের পর আবারও থানচির সোনালী ব্যাংক শাখা এলাকায় হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী।
পুলিশের পাশাপাশি কেএনএফের পক্ষ থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে এদিন সন্ধ্যায় নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
জানা গেছে, রুমার যে স্থান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ওই এলাকার আশপাশ থেকেই পরিবার ও র্যাবের সহায়তায় বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
উদ্ধারের পর নেজাম উদ্দীনকে রুমা থেকে বান্দরবান শহরে নিয়ে আসা হচ্ছে। উদ্ধারে পর স্বস্তি প্রকাশ করেছে পরিবার ও প্রশাসন।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম বলেন, ‘তাকে নির্যাতন করা হয়নি। নেজাম উদ্দীন ট্রমাটাইজড না, উনি সুস্থ আছেন।’
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা চালায়।
এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একইসঙ্গে মসজিদ থেকে রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র ওই বাহিনী।
এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে কেএনএফ।
র্যাব বলছে, কেএনএফের আর্থিক সংকট চলছিল, তা আগে থেকেই কয়েকটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এ সংকট দূর করার জন্যই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।