এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পের পাশের আইলেনের পরিমাপে যাতে কোনো হেরফের না হয়, শেষমুহূর্তে প্রকৌশলীদের সেটি নিয়ে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করতে দেখা যায়।
মূলত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশে নামার র্যাম্পটি খুলে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে র্যাম্পে লাইট ও পথনির্দেশক সাইনবোর্ড বসানো শেষ হয়েছে। মার্কিংয়ের কাজও শেষ। আর মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার অংশও পুরোপুরি প্রস্তুত গাড়ি চলাচলের জন্য, এখন শুধু খুলে দেয়ার অপেক্ষা।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ খুলে দেয়া হয়। যেখানে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল, মগবাজার, ধানমন্ডি কিংবা মোহাম্মদপুরগামী সব গাড়িকেই তেঁজগাওয়ের ফার্মগেটের র্যাম্প ধরে নেমে যেতে হয়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএম সাখাওয়াত আকতার বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার র্যাম্পটি কয়েকদিনের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে। তবে কারওয়ান বাজারের পান্থকুঞ্জ থেকে বিমানবন্দরের দিকে যেতে এক্সপ্রেওয়েতে ওঠার যে র্যাম্প রয়েছে, তার কাজ শেষ হতে আরও কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে।’
র্যাম্পটি থেকে নামার কয়েকশো গজের মধ্যেই হাতিরঝিল চাররাস্তার মোড় থাকায় সেখানে যানজট সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বয়ং প্রকল্প পরিচালক। তবে যানজট নিরসনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘নিখুঁত পরিকল্পনা না করা হলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি আসতে পারলেও এফডিসির সামনের যানজট সবাইকে ভোগাবে।’
এফডিসির সামনে নামার এই র্যাম্প চালুর দিন তেজগাঁও লিংক রোডের ওপর থেকে মতিঝিলগামী একটি ওঠার র্যাম্পও খুলে দেয়া হবে। কারওয়ান বাজারে থাকা ওঠা ও নামার দুটি র্যাম্পের পর কুতুবখালীগামী এক্সপ্রেসওয়ের পরবর্তী ওঠা বা নামার র্যাম্প থাকছে কমলাপুরে। যা চালু হতে আরও কয়েকমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।