প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ উদ্বোধন করেছেন। এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ, শান্তি ও প্রগতির বাংলাদেশ’।
সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কুচকাওয়াজের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ছয় দিনের কর্মসূচি। খোলা জিপে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
এরপর পুলিশের ১১টি চৌকষ দল এগিয়ে আসে সরকারপ্রধানকে অভিবাদন জানাতে। একে একে সালাম জানায় মেট্রোপলিটন পুলিশ, শিল্প পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব. এসপিবিএন, পতাকাবাহী দল, যৌথ রেঞ্জ, যৌথ দল, ইউএন পুলিশ, নারী পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ। এসময় প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
একসঙ্গে সশস্ত্র সালাম জানায় পুলিশের সবকটি ইউনিট। তখন বিউগলে বেজে ওঠে সুর। এরপর সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ ৪০০ জনকে বিপিএম ও পিপিএম পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতাযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ইতিহাস তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সরকার। স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়তে আগামীতে সাইবার পুলিশ ইউনিট, এভিয়েশন ইউনিট তৈরিসহ নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগনের জানমাল রক্ষায় জীবন দিয়ে কাজ করেছে পুলিশ বাহিনী। বিশ্ব শান্তি রক্ষায়ও অবদান রেখে যাচ্ছেন তারা।বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীও এই শান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় শান্তি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি রক্ষায় কাজ করতে গিয়ে অনেক পুলিশ অফিসাররা জীবন দিয়েছে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাদের এ সাহসী পদক্ষেপ শুধু দেশে না বিশ্বের শান্তি রক্ষায় অবদান রেখে গেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানায়।’
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় তখনও যেন পুলিশ জনগণের পাশে থাকে। আবার কোভিড-১৯ এর সময় পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এমনকি কোভিডের কারণে যারা মারা গেছেন, হয়তো আত্মীয়স্বজন মরদেহ ফেলে চলেন গেছেন কিন্তু পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায়, এদেশের শান্তি রক্ষায় পুলিশ তার জীবন দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং ধ্বংসাত্মক কাজ রুখে দিয়েছে।’
এসময় সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ও অপরাধ দমনে পুলিশের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ঘুরে দেখেন শেখ হাসিনা।