শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভারত-বাংলাদেশের বিচারিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে ঢাকায় দু'দিনব্যাপী একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়সহ দেশি-বিদেশি বিচারপতি, বিচারক ও আইনজীবী।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত-বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। বলেন, 'আমরা দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ একই আইনি দর্শনের উত্তরাধিকার হওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তসমূহ আমাদের উচ্চ আদালত দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ এবং প্রয়োগ করে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাথে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। আইনি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের বিচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ সমৃদ্ধ হবে।'
অবৈধ ক্ষমতাদখলধারীরা বারবারই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বঙ্গবন্ধু নিজেই বিচার পায়নি। বলেন, 'আমি চাই আমাদের দেশের মানুষ ন্যায় বিচার পাক। আমার মতো যেন বিচারহীনতায় কষ্ট পেতে না হয়। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে চলে এবং ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব যাতে চিরস্থায়ী হয়।'
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'যে বিচারকগণ সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন; তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।'