দেশে এখন
0

পাড়া-মহল্লায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে। বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে শহীদদের আত্মত্যাগ হৃদয়ে ধারণের অঙ্গীকার তরুণ প্রজন্মের।

পূর্ব রাজাবাজারের ইয়ামিন, আরাফ আর সিফাত নামের তিন কিশোর স্থায়ী ভালোবাসার জানান দেয় অস্থায়ী শহীদ মিনারে। সারারাত পরিশ্রমে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তাদের শহীদ মিনার।

রড, বালু, সিমেন্টের তৈরি না হলেও কাঁদামাটি আর ইটের তৈরি মিনারে এতটুকু কমতি ছিলো না ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার। তারা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই; তাই শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বন্ধুরা মিলে এই শহীদ মিনার বানিয়েছে।

শুধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নয়, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় তৈরি হয়েছে অস্থায়ী শহীদ মিনার।

সূর্যের আলোর সঙ্গে আলো ছড়িয়েছে প্রভাত ফেরীর কন্যারা। ফুল হাতে সারিবদ্ধভাবে ছুটে চলে গর্বের শহীদ মিনারে। কোমলমতি শিশুদের নরম পরশে যেন নতুন এক সকাল জেগেছে।

শিশুরা জানায়, ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের ফুল দিতে এসেছে।

বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে শহীদদের আত্মত্যাগ আর ভাষার প্রমিত উচ্চারণকে প্রাধান্য দিচ্ছেন নতুন প্রজন্ম। তবে শেকড়কে ভুলে নয়।

এক তরুণী বলেন, 'শিশুদেরকে আমরা প্রমিত বাংলা ভাষাটা শেখানোর চেষ্টা করবো। তার বাইরে তাদের মাতৃভাষা ব্যবহার করলেও দোষের কিছু নেই।'

ফেব্রুয়ারির এ প্রভাত ফেরী চিরায়ত ও চিরচেনা অস্তিত্ব হলেও ভিন্নতা দেখা যায় নতুন প্রজন্মের মধ্যে। কারও কারও জুতা পায়ে এমন হেটে চলা শহীদদের প্রতি অসম্মানের।

ভাষা শহীদদের স্মৃতিময় ঐতিহ্য, গর্ব, উজ্জীবিত রাখার অকৃত্রিম এ প্রয়াস ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে দেশান্তরে।

এভিএস