একুশের প্রথম প্রহর শেষে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শহীদ মিনার অভিমুখে নামতে শুরু করে মানুষের ঢল। আপামর সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। কারো হাতে ফুলের তোড়া, কারো হাতে ছিল রাজনৈতিক ব্যানার।
সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। পরে, বিএনপি নেতারা বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনে একুশের চেতনা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ বায়ান্ন আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণায় জুগেছে কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করব। এই প্রেরণাতেই আমরা গত ১৬-১৭ বছর সংগ্রাম করেছি। আমাদের অনেক নেতা কর্মীকে গুম ও ক্রসফায়ার করা হয়েছে। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলন ও মহা বিপ্লব জুলাই-অগাস্ট সংঘটিত হয়েছে।’
আরো পড়ুন: রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষায় আধিপত্য ইংরেজির!
এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা। এ সময় তাদের কণ্ঠে উঠে আসে একুশের ঐক্যের কথা, যার প্রতিফলন দেখা যায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘একুশ আমাদের একত্রিত হবার শিক্ষা দেয়। আমরা এবার এখানে থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা পেয়েছে। এই প্রেরণা আমাদের ভবিষ্যতে একটি শোষণ মুক্ত বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাবে।’
এর আগে, একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি। বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষের রাজনীতি নির্মাণের যে ভাষা তৈরি হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।