নগরবাসীর অতি প্রয়োজনের মেট্রোরেল প্রতিদিন যাত্রী বহন করছে প্রায় পৌনে ৩ লাখ। উত্তরা থেকে মতিঝিল সকাল-সন্ধ্যা মেট্রো চালুর পর সবমিলিয়ে স্বস্তির যে যাত্রার কথা বলছেন নগরবাসী, সেখানে প্রশ্ন উঠছে 'সাময়িক বিরতির সময়' নিয়ে। গেল ১ মাসের মধ্যেই কম করে হলেও দু'বার চলতে চলতে হঠাৎ ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় বন্ধ থাকে মেট্রোরেল। এছাড়া ১০ মিনিট থেকে আধাঘণ্টার বিরতির ভোগান্তিতেও পড়েন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মেট্রো ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন. ছিদ্দিকের কাছে প্রশ্ন ছিল কেন এমন হচ্ছে? এই কর্মকর্তা তাই বড় দাগে বিদ্যুৎ ট্রিপ যেটি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের কারিগরি বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং লাইনে ঘুড়ি আটকে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সহায়তায় মেট্রো লাইন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিরোধে এরই মধ্যে তারা মাঠে নেমেছেন।
পূর্ণযাত্রায় মেট্রো চালুর পর অফিসযাত্রা এবং অফিসফেরত সময়ে মেট্রোরেলে যাত্রীচাপের বিষয়টি উঠে আসে এই ব্রিফিংয়ে। কর্তৃপক্ষ বলেন, যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে, পিক আওয়ারের বিরতি ১০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ মিনিট এবং অফপিকে ১২ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল।
এম. এ. এন. ছিদ্দিক বলেন, '১৫২ বার ট্রেন আসা-যাওয়া করতো। এখন ১৭৮ বার ট্রেন আসা-যাওয়া করবে। ২৬টি ট্রেন বাড়ায় যাত্রী থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই।'
নতুন সূচি অনুযায়ী, সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের দিকে ছেড়ে যাবে ৩টি ট্রেন। বিপরীত দিক মতিঝিল থেকে উত্তরার পথে ৩টি ট্রেন ছাড়বে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। সকালে উত্তরা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুইটি ট্রেন এবং রাত ৮টার পর মতিঝিল থেকে থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন শুধু ব্যবহার করা যাবে স্থায়ী এমআরটি বা র্যাপিড পাস দিয়ে।
যথারীতি রাত ৭টা ৫০ মিনিটের পর বন্ধ হয়ে যাবে মেট্রো স্টেশনের টিকিট বিক্রয় অফিস ও টিকিট বিক্রয় মেশিন।