দেশে এখন
0

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ কমেছে

আশ্রয়কেন্দ্রে সীমান্তের দুই শতাধিক মানুষ

বান্দরবান-কক্সবাজার সীমান্তে গত কয়েকদিনের তুলনায় গোলার শব্দ কিছুটা কমলেও চলছে থেমে থেমে। এতে সীমান্ত এলাকায় কৃষি নির্ভর জীবিকা অনেকটিই স্থবির হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ।

সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে দিনের বেলায়ও শুনশান নীরবতা। সীমান্ত লাগোয়া ঘুমধুমের পশ্চিম পাড়া, মধ্যম পাড়া ও তুমব্রুর গ্রামগুলোতে এখন কেবলই ভয় আর আতংক। মাঝে মাঝেই মর্টার আর গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা সীমান্ত এলাকা। জনপদে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

এই এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িই এখন শিশু আর নারী শূন্য। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে পাহারায় রয়ে গেছে গৃহকর্তা।

এদিকে, বান্দরবান ও কক্সবাজারে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। সীমান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এরইমধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ২শ' নারী, পুরুষ।

ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্তে গত ২ দিনের তুলনায় গোলাগুলি কিছুটা কমায় আশায় বুক বাধছেন তারা। হয়তো শান্তিতে বাড়িতে থাকতে পারবেন তারা।

মিয়নমারের সাথে কক্সবাজারের সীমান্ত পড়েছে উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায়। এখানে পালংখালী, রহমতের বিল, আনজুমাপাড়ার সীমান্তেও হয়েছে তুমুল সংঘর্ষ। থেমে থেমে গুলির শব্দ আসছে।

এদিকে, এক সপ্তাহ আগে আনজুমানপাড়ায় নাফ নদীর খালে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যাক্তি। এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তে কাজ করা শ্রমিক, দিনমজুদের মাঝে। পরিবারের অভিযোগ তাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।

সীমান্তে তীব্র লড়াইয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৬৪ জনকে কড়া পাহারায় রাখা হয়েছে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী এ স্কুলে। আশ্রয় নেওয়াদের মধ্যে বিজিপি সদস্য, সেনাসদস্য, সিআইডি, পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের , ইমিগ্রেশন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

এসএসএস