দেশে এখন
0

বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার সদস্যদের নৌপথে নিতে চায় মিয়ানমার

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ

মর্টার শেলের আঘাতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা ও মিয়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রভাব পড়ায় রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সাথে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার দুপুর থেকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার তুমব্রু ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে এখনো পর্যন্ত পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যসংখ্যা আড়াইশ' ছাড়িয়েছে। ওপাড় থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে দুই বাংলাদেশি নাগরিকের।

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তলব করা হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে। সকাল ১১ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডেকে মোয়েকে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়। নেইপিদোর অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে বাংলাদেশে হতাহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।

বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও আলোচনা চলছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, মিয়ানমার তাদের নৌপথে ফেরত নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। যদিও ফেরত প্রক্রিয়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দুদেশ।

১৯৪৮ সালে মিয়ানমার স্বাধীন হবার পর থেকেই দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে সেনাবাহিনীর সাথে বিভিন্ন গোষ্টীর সাথে দ্বন্দ ও সংঘাত লেগেই আছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই সংকট প্রবল আকার ধারণ করেছে। তাতে দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও।

এর আগে সীমান্ত উত্তেজনা, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ নানা কারণে ২০২২ সালে চারবার তলব করা হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে।

এসএস