কাল শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইতোমধ্যে তুরাগ তীরে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
কারো কাঁধে ব্যাগ, মাথায় ভারি বস্তা। টুপি-পাঞ্জাবি পরে ছুটছেন তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। টঙ্গীর প্রতিটি সড়কে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
এদিকে ইবাদাত বন্দেগির জন্য ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন মাওলানা জুবায়েরপন্থী লাখ লাখ মুসল্লি। তবে ইজতেমা শুরুর আগেই তুরাগ তীরে বিভিন্ন পণ্যের বেচাবিক্রি জমে উঠেছে। আর রাস্তার পাশে বসেছে অসংখ্য অস্থায়ী দোকান।
মো. শহিদুল্লাহ চার দশকের বেশি সময় ধরে টুপি, আতর আর তসবীহ নিয়ে তুরাগ পাড়ে আসেন। প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার বেচাকেনা করেন। তিনি বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তেমন লাভ হয় না। তারপরও ব্যবসা করতে হয়।’
এছাড়া পায়জামা, পাঞ্জাবি ও মেসওয়াক সাজিয়ে বসেছেন অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী। ইজতেমায় এসব পণ্যের চাহিদাও বেশি থাকে। আর অস্থায়ী মার্কেটে কম্বল নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শীতকাল হওয়ায় অনেকেই ইজতেমায় এসে কম্বল কেনেন। শুরুতে বিক্রি তেমন না হলেও আগামী দুই দিনে বিক্রি বাড়বে, বলছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে এবার সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার বেচাবিক্রি কম হওয়ার আশংকা ব্যবসায়ীদের। এদিকে বিশ্ব ইজতেমার মূল মঞ্চ থেকে শুরু করে পুরো ময়দান তাঁবুতে ছেয়ে গেছে। ছোট ছোট দলে অবস্থান করছেন আগত মুসল্লিরা।
মুসল্লিরা বলেন, ‘পৃথিবীতে যেন আল্লাহর দ্বীন কায়েম হয় সেজন্যই ইজতেমায় আসছি। সারাবিশ্বের অনেক দেশ থেকে মুসল্লিরা আসছেন।’
নামাজের জায়গা আলাদা আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। টয়লেট ও গোসলের ব্যবস্থাপনাও শেষ। ইজতেমাস্থলে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ রয়েছে, প্রস্তুতি ও আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট মুসল্লিরা।