দেশে এখন
0

মার্চেই খুলছে দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল হার এ মাসেই নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ।

গত নভেম্বরে চট্টগ্রামে দেশের দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পেরিয়েছে দুই মাস, কিন্তু এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী মার্চেই এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার তোড়জোড় চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়তে কতো টাকা টোল দিতে হবে বন্দরনগরীর বাসিন্দাদের, সেটিই এখন চূড়ান্ত হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এ প্রকল্পে সরকার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ঋণ দিয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এই টাকা তুলতে আদায় করা হবে টোল। নামার পয়েন্টগুলোতে বসানো হবে টোলবক্স । টোলের হার বড় গাড়ির জন্য ১৫০ এবং ছোট গাড়ির জন্য ৭০ টাকা হতে পারে। চলতি মাসের মধ্যেই যা প্রস্তাবনা আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত মূল ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শেষ। এতে বিভিন্ন মোড়ে ওঠানামার জন্য র‌্যাম্প থাকবে ১৪টি। এরই মধ্যে টাইগারপাস র‌্যাম্প নির্মাণ শেষ হয়েছে। চলছে বন্দরের নিমতলায় দুটি র‌্যাম্প নির্মাণের কাজ।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শেষ সময়ের কাজ চলছে, আগামী মার্চের মধ্যেই এই ফ্লাইওভার খুলে যাবে।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে মোট খরচ পড়ছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে নেয়া এই প্রকল্পের ২ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। বর্তমান মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে দ্রুত এই চার লেন ফ্লাইওভারের সুফল দিতে কাজ চলছে বলে জানায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে বিমানবন্দর এবং টানেল হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যাতায়াত সহজ হবে। এতে করে লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০-২৫ মিনিট, যেখানে বর্তমানে লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা।