খাদ্যমন্ত্রীর চারদিনের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেয়ার পরও তেমন কোন প্রতিফলন বাজারে নেই। পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৬ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার পর মাত্র ২-৩ টাকা কমে ব্রি-২৮ ও লতাসহ সব ধরণের মোটা চাল ৫০-৫২টাকা, মিনিকেট আর নাজির বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫টাকা পর্যন্ত।
গত ১৭ জানুয়ারি খাদ্যমন্ত্রী চালের দাম কমিয়ে আনার আশ্বাস দেন। বেধে দেয়ার চারদিন রোববার শেষ হলেও চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন চালের দাম কমতে আরও সপ্তাখানেক সময় লাগবে। সব দায় তারা মিল মালিকদের ওপরই দিলেন। তারা বলেন, 'মিলাররা আমাদেরকে যেভাবে চাল দেয় আমরা সেভাবেই বিক্রি করি। আমাদের কিছু করার নাই। বাজার বাড়বে কি কমবে এটা নিয়ে আমরাও দ্বিধার মধ্যে আছি। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে আসলে আমাদের জন্যও ভালো।'
এদিকে খুচরা বাজারে চাল বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, 'চালের বাজার আগে যা ছিল তাই আছে। নতুন কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই। মিনিকেট ৭০ টাকা আর নাজির ৭৫ টাকা করে বিক্রি করছি। কমার কোন প্রভাব এখনো পড়ে নাই।'
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চালের বাজার তদারকিতে খাদ্যমন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এসময় তারা জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে, প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল আমিন বলেন, 'বিভিন্ন প্রকারের চাল তারা টেবিলের উপরে সাজিয়ে রেখেছে। আমরা তাদেরকে সেখানে চালের মূল্য এবং নাম লাগাতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা এখনো লাগায়নি। তাই তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি। যদি পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের অভিযান লাগে তাহলে তা করবো।'
মনিটরিং টিমের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি শুধু পাইকারি পর্যায়ে না থেকে সরকার চাল প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানেও যাতে নজরদারি বৃদ্ধি করে।
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, 'মিলাররা চাল দেয় আর আমরা বিক্রি করি। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মিলাররা, আমরা তো করি না। আগে ধাপে ধাপে বাড়তো, এখন বাড়তেছে না, থেমে আছে। সরকারের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করবে চালের দাম কমবে কিনা।'
আমনের ভরা মৌসুমে বিগত বছরগুলোর এই সময়ে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও এবছর পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও হুট করেই বাড়তে থাকে চালের বাজার।