আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয় বাজুস। বৈঠকে ভবিষ্যতে বাজুসের যেকোন সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান বাজুস নেতারা। এ বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা দেয় বাজুস।
সংগঠনটির প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে-
১. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় জুয়েলারি শিল্পের অনেক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান হওয়ার বাজুসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একইসাথে ভবিষ্যতেও বাজুসের যে কোন সমস্যা সমাধানে আপনার আন্তরিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি।
২. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্সে বাজুসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনা পেশ করছি।
৩. বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে চোরাচালন বিরোধী কার্যক্রমে বাজুসের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাবনা পেশ করছি।
৪. জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাবনা পেশ করছি।
৫. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সোনা পরিবহনের ক্ষেত্রে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রায়ই হয়রানীর শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে সোনার অলংকার পরিবহনের সময় প্রতিষ্ঠানের চালানের কপি ও বহনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাজুসের পরিচয়পত্র প্রদর্শণ করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে কোনরূপ হয়রানী না করে তার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবী করছি।
৬. সারা দেশে জুয়েলারী দোকানে এ যাবতকাল অনেক চুরি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসকল ঘটনায় বর্তমান আইন অনুযায়ী সাধারণ চুরির মামলা হিসেবে থানা গ্রহণ করে। সোনা একটি মূল্যবান ধাতু। তাই আইন পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তাবনা পেশ করছি । পাশাপাশি অতীতে সংঘটিত অপরাধ তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।