আশুগঞ্জের মোকামে কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসে কৃষকের গোলার ধান। শত বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এই হাটে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত বেচাকেনা চলে।
কিন্তু এক মাসের বেশি সময় ধরে দৈনিক চাহিদার ১ লাখ মণের বিপরীতে মোকামে ধান পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৫-৩০ হাজার মণ। এমন অবস্থায় বেড়েছে সব ধরনের ধানের দাম। তবে ব্যাপারীদের দাবি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমনের ফলন কম হয়েছে।
মোকামের বেপারীরা বলেন, 'জমিতে কৃষকের কাঁচা ধানই ১ হাজার টাকা মণ পড়ে। এইবছর ধানের দাম তো আরও বাড়বে। কারণ সারের দর বাড়তি। গেরস্তের থেকে বেশি দরে কিনতে হয়। তাই আশুগঞ্জে এসে বেশি দরেই বিক্রি করতে হইবে। নয়তো লোকসান হবে।'
ধানের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও। দুই সপ্তার ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এরপরেও লাভ হচ্ছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
![](https://images.ekhon.tv/rr.webp)
চালের বাজার দর
চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশি দাম দিয়ে ধান কিনলে চাল কমে বিক্রি করা যাবে না। ধানের বাজার প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। চালের বাজারও একই অবস্থায়।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, ধান সংকটে অনেক চালকল বন্ধ রয়েছে। আর এই সংকট কাটাতে অপেক্ষা করতে হবে বোরো মৌসুম পর্যন্ত।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, 'চালের তুলনায় ধান বেড়ে গেছে বিধায় আমরা ধান ভাঙতে পারছি না। আমাদের প্রচুর লোকসান হচ্ছে। এজন্য অনেক মিলার মিল বন্ধ করে দিয়েছে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আড়তগুলো থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চাল বাজারজাত করা হয়। যা চট্টগ্রাম-সিলেটের সব জেলা ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায় সরবরাহ হয়।