ভোটার ব্যালটে সিল মারলেও পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে যোগ হয়নি সেই ভোট। নিয়ম মেনে ব্যালটে ভোট দিতে না পারায় সেই ভোট যোগ হয়েছে বাতিলের তালিকায়।
উত্তরের জেলা বগুড়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিলেও তার মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ ভোটই বাতিল হয়েছে। গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যা ছিলো ১.২ শতাংশ।
গণমাধ্যমকর্মী আব্দুস সালাম বাবু বলেন, 'অনেকেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে হয়তো বা ইচ্ছা করেই একাধিক মার্কাতে ভোট দেয়। আবার কেউ কেউ ভোট বাতিল করার জন্য এই কাজটা করতে পারে।'
জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক মিলন রহমান বলেন, 'কাগজ কীভাবে ভাজ করে জমা দিতে হয়, এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি ভোটের আগে প্রচারণা করে তাহলে বাতিল ভোটের সংখ্যা কমতে পারে।'
প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন আয়োজনের পরেও বাতিল ভোট আর অর্থের পাশাপাশি সময়েরও অপচয় হচ্ছে। ব্যালটে সিল মারার ক্ষেত্রে মানসম্মত কালির ব্যবহার নিশ্চিত ও বাতিল ভোটের কারণ অনুসন্ধান এখন সময়ের দাবি বলছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহন আখন্দ ও ব্যবসায়ী আবু মোত্তালিব মানিকের।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহন আখন্দ বলেন, 'এত ভোট কেন বাতিল হল, এটা কি অজ্ঞতাবসত নাকি ইচ্ছাকৃত! নির্বাচন মানেই অনেক টাকার ব্যয়। বাতিল ভোট শূন্য না হলেও পরিমিত হারে নামানোর জন্য উদ্যোগ নেয়া দরকার।'
মোত্তালিব মানিক বলেন, 'আমি ব্যালটে সিল দেয়ার পর ভাজ করার সময় কালিটা অন্যপ্রান্তে লেগে যায়। আমার মনে হয় এটাই ভোট নষ্ট হওয়ার মূল কারণ।'
ভোট বাতিলের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানালেন ভোটদানের সঠিক পদ্ধতি নিয়ে সাধারণকে সচেতন করতে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলো সবচে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
বলেন, 'ভোটারদেরকে এ বিষয়ে আরও সচেতন করতে হবে। প্রার্থীরা প্রচারণার সময় ভোটারদেরকে ব্যালট পেপারের নমুনা এবং সিল মারার বিষয়ে সচেতন করা হলে এটার পরিমাণটা কমে আসবে।'
১১ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার ৫৮৫ জন ভোটারের মধ্যে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে ভোট দিয়েছেন ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৪ জন ভোটার।