পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
0

অপরিশোধিত বর্জ্যে দূষিত হবিগঞ্জের হাওর

হবিগঞ্জ

শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে হবিগঞ্জের বিস্তৃণ হাওরাঞ্চল। এতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি বিরূপ প্রভাব পড়ছে হাওরের কৃষি অর্থনীতিতে। হাওর বাঁচাতে সঠিক পরিকল্পনার দাবি পরিবেশকর্মীদের।

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সুতাং নদী লাখো মানুষের জীবন- জীবিকার উৎস। তবে তাতে বাধ সেধেছে মারাত্মক দূষণ।

এই অঞ্চলে গড়ে উঠা বিভিন্ন শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য দিনের পর দিন ফেলা হচ্ছে নদীতে। যার কারণে উর্বরতা কমেছে নদীর পাড়ের ফসলি জমির। আবাদ ঠিক রাখতে অতিরিক্ত সার, কিটনাশক ও সেচ দিয়েও কাংঙ্ক্ষি ফসল পাচ্ছেন না কৃষক বরং বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

গ্রামবাসীরা বলেন, কারখানার ময়লা নদীতে ফেলায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধানক্ষেতে পানি দিলে গাছ মর যায়। আগে জেলেরা ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মাছ ধরতে পারতো। তাদের সংসার চলতো। কিন্তু পানি নষ্ট হওয়ায় এখন মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। আগে এক একর জমি চাষাবাদে খরচ হতো ২ হাজার টাকা আর এখন হয় ৫ হাজার ।

পানি দূষণের বিরূপ প্রভাব পড়েছে হাওরের জীববৈচিত্র্যর উপর। হারিয়ে গেছে অনেক দেশীয় মাছ। হাওরের কৃষি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দূষণ কমানোর পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা প্রয়োজন বলছেন পরিবেশবিদরা।

বাপার নির্বাহী সদস্য নাসরিন হক বলেন, 'আমরা যদি আন্দোলনে সফল হতে পারি তাহলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়া সম্ভব।'

বাপার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘ বর্ষা মৌসুমে কৃষি, যোগাযোগসহ সব কিছু মিলিয়ে হাওর বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু হাওরের প্রতি যে অনাচার তার সবই মানবসৃষ্ট।'

হাওরাঞ্চলের দূষণ কমানোসহ কৃষি, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ইতোমধ্যেই সম্মিলিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কৃষক, জেলে ও পরিবেশকর্মীরা।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর