এদিকে গাড়ি পার্কিং এলাকায় সারি সারি ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। তবে এরমাঝে হঠাৎ নজর কাড়বে বিআরটিসি’র দ্বিতল বাস। ট্রেনযাত্রীদের রেলস্টেশন থেকে হোটেল-মোটেল জোন ও শহরের অভ্যন্তরে চলাচলের এই 'সিটিবাস সার্ভিসের' ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্টেশন থেকে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করতে যাওয়া সিটিবাস ঘিরে যাত্রীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। মুহূর্তেই বাসের আসনগুলো পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আর যারা ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
যাত্রীরা বলেন, ‘আগে সিনএনজিতে যাতায়াত করতাম, ভাড়াও বেশি ছিল। এখন বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস পেয়ে আমাদের ভালো লাগছে। অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় আমরা সবাই খুশি।
বিআরটিসি’র বাসে রেলস্টেশন থেকে হোটেল-মোটেল জোনের ডলফিন মোড় পর্যন্ত ভাড়া মাত্র ১৫ টাকা। সুগন্ধা পয়েন্টে ২০ টাকা আর লাবণী পয়েন্টে ২৫ টাকা। এছাড়া শহরের অভ্যন্তরে হলিউডের মোড় পর্যন্ত ৩০ টাকা ও ঘুনগাছতলা পর্যন্ত ভাড়া মাত্র ৩৫ টাকা।
বিআরটিসি’র দুই বাসে মোট ১৫০ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। বাকি যাত্রীরা ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে গন্তব্যে যান। এক্ষেত্রে তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। রেলস্টেশন থেকে বিআরটিসি’র বাসে ডলফিন মোড় পর্যন্ত যেখানে ভাড়া ১৫ টাকা সেখানে ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা।
বিআরটিসি’র ম্যানেজার মো. আজিজুল হক বলেন, যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাসের সংখ্যাও বাড়াবো।’
বাণিজ্যিক ট্রেন চালুর ২২ দিন পর 'সিটিবাস সার্ভিস' চালুর উদ্যোগে কক্সবাজারের পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজার পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, আজ থেকে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। ভালো সাড়া পেলে আমরা বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবো।’
পর্যটকদের জন্য শিগগিরই ৩টি ট্যুরিস্ট বাস চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। যেগুলো শহরের লাবণী এলাকা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী এলাকায় চলাচল করবে।