৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। তবে বিগত পাঁচ বছরেও সেতুর কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গেলো জানুয়ারিতে জান্নাত কন্সস্ট্রাকশন নামে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয় এলজিইডি। তবে গেল ৬ মাস ধরে তারাও কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে দুইপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, 'এতদিন দায়িত্বে ছিল নাভানা আর এখন আসছে জান্নাত কোম্পানি। তারাও গাফিলতি করছে। এই ব্রিজটির অভাবে আমরা হাটবাজার করতে পারি না। পণ্য আনা নেয়াতে অনেক কষ্ট।'
নির্ধারিত সময়ে সেতু বাস্তবায়ন না হওয়ায় নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। সেতুর অভাবে এই এলাকায় উৎপাদিত ফসল সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিক ক্ষতিতে স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'ব্রিজ চালু হয়ে গেলে আমাদের ব্যবসা অনেক সুবিধা হবে, আমাদের গতিও বাড়বে। আশেপাশের অনেক এলাকা উন্নত হতো।'
চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, 'সেতুটি হয়ে গেলে কৃষকরা লাভবান হবে। চিকিৎসা সেবার জন্যও সুবিধা হবে। কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে।'
তবে সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ। তিনি বলেন, এই এলাকার মানুষের জীবনমান বাড়ানোর জন্য সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণেও কিছু জটিলতা থাকায় নির্মাণকাজে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।