দেশে এখন
0

১৫ বছর পর ফের রোমে যাবে বিমান

২০২২ সালে বিমানের ঢাকা-টরন্টো রুট শুরু হয়েছিল। এরপর এক এক করে ঢাকা-গুয়াংঝু, ঢাকা-নারিতা ও ঢাকা-চেন্নাই রুটে চালু হয়েছে বিমান বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট। নতুন চালু হওয়া ৪ রুটই এরই মধ্যে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। আর গুয়াংঝুতে যাত্রীর পাশাপাশি কার্গোর চাহিদাও বাড়ছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রুট সম্প্রসারণের তালিকা আরও বড় হচ্ছে। ২০২৪ সালের শুরুতে এ তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও দুটি রুট। ঢাকা-রোম রুটে বিমান উড়বে মার্চে আর চট্রগ্রাম-কুনমিং রুট আগামী বছরের প্রথমভাগেই শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এয়ারলাইন্সের ট্রেনিং সেন্টারে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রুট সম্প্রসারণ নিয়ে এ কথা বলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম।

শফিউল আজিম আরও বলেন, ‘ইউরোপের মতো মহাদেশে বিমানের রুট নেই, এটি আমার কাছে বড় অপূর্ণতা মনে হয়। তবে আগামী মার্চেই আমরা রোমে যাত্রা শুরু করবো।’

২০০৯ সালে বন্ধ হওয়া ঢাকা-রোম ফ্লাইট সরাসরি নাকি ট্রানজিট হবে এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিপণন ও বিক্রয়) পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, আপাতত দুটি অপশনই পরিকল্পনায় আছে। শিগরিরই সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রুট সম্প্রসারণের পাশাপাশি বহর বাড়াতে চায় বিমান বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের দেয়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে তারা। এমডি’র দাবি, বিমানের স্বার্থে যেটা ভালো হয় সেটাই করা হবে।

ফ্লাইট রুট ও কার্যক্রম বাড়ায় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্রিকোয়েন্সি ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বিমান। থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে হাজার কোটি টাকার যন্ত্রাংশ ও লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। নিজেদের উড়োজাহাজের পাশাপাশি অন্য এয়ারলাইন্সকে সি-চেক সেবা দিয়ে আয় করছে এই বিমান সংস্থা।