দেশে এখন

পৌষের ভোরকে রাঙিয়ে বিজয়ের বার্তা

শ্রদ্ধা-কুচকাওয়াজে নানা আনুষ্ঠানিকতা

পূর্ব দিগন্তে জেগেছে সূর্য। পৌষের ভোরকে রাঙিয়ে বিজয়ের বার্তা। শিশির মাড়িয়ে জোটবদ্ধ মানুষের গন্তব্য শ্রদ্ধা নিবেদনের বেদীতে। লাখো শহীদের রক্তে পাওয়া বিজয়-স্মৃতি স্মরণে মানুষের ঢল।

৩১ তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। ব্যানার ফেস্টুনসহ সমবেত নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের জনতা। পরে শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখর হয় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। চলে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম বলেন, 'আমি ৩০ লক্ষ শহীদকে স্মরণ করছি যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীনতা পেয়েছি।'

শীত উপেক্ষা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও নামে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। লাল-সবুজের রঙে ফুলহাতে মিলিত হয় এক মোহনায়। ছাত্র-শিক্ষকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন শ্রদ্ধা জানাতে। কণ্ঠে ধ্বনিত হয় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে যতদিন এগুবো ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না।'

সিলেটেও তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। নানা সাজ-পোশাকে উপস্থিত হন হাজারো মানুষ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ। জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেন।

সাধারণ মানুষ বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কোন চক্রান্ত যেন নস্যাৎ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল করতে হবে।

ময়মনসিংহেও ভোর থেকে নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে অপেক্ষা হাজারও মানুষের। হাতে লাল সবুজের পতাকা আর বিজয়ের পোশাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সবাই। এসময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাস ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যায় ছিল সবার কণ্ঠে।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষজন বলেন,'বিজয়ের ৫৩ বছরে পা রাখলাম। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে সে প্রত্যাশা করি।'

এছাড়া, বরিশাল, বগুড়া, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, শেরপুর, মাগুরা, জামালপুর, ফেনী ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন স্বাধীনতার ৫৩ বছর।



এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর