নগরীতে কুয়াশার পারদ, উদযাপনে রাজধানীবাসী

দেশে এখন
0

পৌষ মাসের আগেই রাজধানীতে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। কুয়াশা যাপনে তাই নগরবাসীর মনে দিয়েছে দোলা। এসব ঘিরে শীতের রাতে বেড়েছে ভ্রাম্যমান চিতইপিঠা, ভাপা পিঠা, চা-ডিম বিক্রেতাদের বেচাবিক্রি।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন এখনও বাকি অথচ কুয়াশার পারদ জমছে নগরীর বুকে। সোডিয়াম আলো ভেদ করে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে কাকডাকা ভোরের আগেই আছড়ে পড়তে হবে নগরীতে আর তার চিহ্ন রেখে যাবে শিশির বিন্দু দিয়ে।

লাইট ক্যামেরা এ্যাকশন শেষে যখন নীড়ে ফেরার বাসনা হয়েছে পথেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাত মন ছুঁয়েছে আলিফ, সোহেল ও বাবুর। কারো শীত প্রিয়তা কিংবা বিদেশে শীত প্রধান দেশে থাকার হারানো অতীত ভারী কুয়াশায় দেশের মাটিতে শ্বাস নেয়ার সময় হয়েছে। তাই আড্ডায় বাড়তি যোগ পেয়েছে ধোয়া ওঠা গরম চা।

এখন টেলিভিশনকে তারা বলেন, শীত তাদের ভীষণ প্রিয় আর তাই হাতিরঝিলে আসা। কারণ গ্রাম ছাড়া এখান থেকে কুয়াশা ভালোভাবে উপভোগ করা যায়।

তাদের মতো আরও অনেকেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় শীতের আড্ডায় বাড়তি আমেজ উপভোগ করছেন। বললেন, শীতের অনুভূতি অসাধারণ।

কুয়াশা নেমে ফাতিমা-বেলাল দম্পতির চুলার আগুনের তীব্রতা বেড়েছে। ভ্রাম্যমান ডিম, ভাপাপিঠা আর চিতইপিঠার বিক্রি করে ভালোই হচ্ছে রোজগার ।

এই দম্পতি বলেন, 'বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ডিম আর পিঠা বিক্রি করি। আগে বিক্রি করতাম ৫ কেজি আর এখন করি ৭ কেজি।'

শীতের রাতে আগের চেয়ে বেড়েছে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতাদের সংখ্যা। আর হাতের নাগালেই এসব পেয়ে রাতের পথচারীরাও শীত যাপনের আমেজ ষোলকলা পূর্ণ করছে।

চা বিক্রেতা জানান, 'শীত বাড়ছে তাই সামনে আমাদের চা বিক্রিও বাড়বে।'

এদিকে আগাম কুয়াশায় ছন্নছাড়া পথের ছিন্নমূল মানুষ। শীতের পোশাকের অভাবে কাতরাচ্ছেন। কেউবা খোলা আকাশের নিচেই জবুথবু হয়ে ঘুমাচ্ছেন। আবার কেউ শীত থেকে বাঁচতে রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে শরীরটাকে কিছুটা হলেও গরম করে নিচ্ছে।

গেল সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে হালকা বৃষ্টি হয়। এতে তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত হতে থাকে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল, মিগজাউমের বৃষ্টির পরই রাজধানীসহ সারাদেশে শীত পড়বে।