পঞ্চগড়ে দেখা মিলছে মোহনীয় সৌন্দর্যের 'কাঞ্চনজঙ্ঘা'

শাহনুর শাকিব
দেশে এখন
0

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মেঘমুক্ত আকাশে হিমালয়ের দ্বিতীয় পর্বতশৃঙ্গ 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' উঁকি দিচ্ছে। শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা।

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত কয়েকদিন ধরে এই পর্বত চূড়ার মোহনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। জমে উঠতে শুরু করেছে এ জেলার পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি।

শ্বেতশুভ্র বসনে রূপের পেখম মেলেছে পঞ্চগড়ের মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা। হেমন্তের মেঘমুক্ত আকাশে রঙিন আভা ছড়িয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতার এই পর্বতশৃঙ্গ।

বছর ঘুরে আবারও হালকা শীতের মেঘমুক্ত আকাশে খালি চোখের সীমানায় ধরা দিয়েছে তার মোহনীয় সৌন্দর্য। মনে হবে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে এই পর্বত চূড়া।

চারপাশে যখন আবছা অন্ধকার তখন চকচকে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। ভোরের আলো পড়তেই চূড়াটি রূপ নেয় পোড়া মাটির রঙে। যদিও বেলা বাড়তেই পাল্টায় সেই রূপ। আসতে আসতে হয় সাদা রঙ। দূর থেকে মনে হয় এ যেন আকাশের গায়ে একখণ্ড বরফ।

বিদেশে গিয়ে যাদের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সৌভাগ্য হয়নি; তাদের অনেকেই এখন ছুটে যান উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। মোহনীয় এই সৌন্দর্য উপভোগ করার মোক্ষম সময় ভোর আর পড়ন্ত বিকেল। তবে মেঘ আর কুয়াশা বেরসিক হলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সৌভাগ্য হয় না অনেক দর্শনার্থীর।

পঞ্চগড় ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি সাজেদুর রহমান জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য অনেক মানুষ এখানে আসে, তাহলে তারা খুব আনন্দ অনুভব করে। আর না দেখতে পেলে তাদের মন খারাপ হয়ে যায়। এখন প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পরেই দেখা যাচ্ছে।

মাউন্ট এভারেস্ট ও কে-২ পর্বতশৃঙ্গের পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘার অবস্থান। ঘরোয়া পরিবেশে নিজের মতো করে দেখা সুযোগ কেবল পঞ্চগড় থেকেই মিলছে। ফলে বাড়ছে পর্যটক। জমে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি।

কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ঘিরে সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়া পর্যটন হাবে পরিণত হচ্ছে বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, এ উপজেলায় ইতিমধ্যে পর্যটন কমপ্লেক্স তৈরি করার জন্য জায়গা নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে তেঁতুলিয়ার কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির মূলভিত্তি হবে পর্যটন।

অক্টোবর ও নভেম্বরের বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া ভালো থাকলে দেখা মেলে এই পর্বত চূড়ার। সবথেকে ভালো দৃশ্য উপভোগ করা যায় পঞ্চগড় করতোয়া সেতু, মাগুরমারী ও তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দার পাড়ে অবস্থিত ডাকবাংলো থেকে। যদিও স্থানীয়রা ঘরের দুয়ার খুললেই দেখতে পান কাঞ্চনজঙ্ঘা।

এসএস

আরও পড়ুন: