আগে এসব ওয়ার্কশপে শ্যালো মেশিনের যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি হতো। খড় কাটা এসব মেশিনের প্রধান ক্রেতা খামারি ও কৃষকরা। প্রচলিত পদ্ধতিতে খড় ও ঘাস কাটতে সময় ও খরচ বেশি লাগে। তবে এই মেশিনে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ৩০০ কেজি ঘাস কাটা যায়।
কৃষকরা বলেন, গরু-ছাগলের জন্য ছোট ছোট করে ঘাস কাটতে হয়। এই মেশিন ব্যবহার করে অনেক বেশি ঘাস বা খড় কাটা যায়। এতে করে আমাদের সময় সাশ্রয় হয়।
কারখানার ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব মেশিন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে যাচ্ছে। এছাড়া খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে মেশিন বিক্রি করা হয়।
এসব মেশিনের কারখানায় প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কাজের সুযোগ হয়েছে। শ্রমিকরা বলেন, সারাদেশে এই মেশিন ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে। আমরাও কাজ করে মাসিক চুক্তিতে ভালো উপার্জন করতে পারছি।
ঝিনাইদহ লোহা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে কারখানায় এই মেশিন উৎপাদন আরও বেড়ে যাবে। এতে করে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।
একেকটি মেশিন ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। জেলায় প্রতিদিন ১০ লাখ টাকার করে মাসে প্রায় ৩ কোটি টাকার মেশিন বেচাকেনা হচ্ছে।