নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ট্রেন। কিন্তু পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। বিশেষ করে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের অবস্থা বেশি নাজুক। এসব রুটে বর্তমানে ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। তবে এই ৬টি ট্রেন যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন যাত্রী ও স্থানীয়রা।
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনটি বেশ পুরনো, এখানকার যাত্রীসংখ্যাও অনেক। কিন্তু এই জংশনে হবিগঞ্জ জেলার সাড়ে ২৩ লাখ মানুষের জন্য টিকিট বরাদ্দ মাত্র ২৬০টি। মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জেলার বাইরের কয়েক লাখ শ্রমিক। এর ফলে জংশনে প্রতিনিয়ত ট্রেনের চাহিদা বাড়ছে। অথচ এক দশকেও টিকিটের সংখ্যা বাড়েনি, বরং নানা অজুহাতে আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে।
স্থানীয় যাত্রীরা বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ জংশন হলেও এখানে তেমন কোনো কাজ চোখে পড়ে না। আমাদের জরুরিভাবে চট্টগ্রাম রুটে একটি ট্রেনের প্রয়োজন। আর যাত্রী বেশি থাকলেও টিকিটের অভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না।
এদিকে ইঞ্জিন সংকটের কারণে সিলেট-আখাউড়া, সিলেট-ঢাকা এবং সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলাকারী ৬টি লোকাল ট্রেনের ৫টি বন্ধ হয়ে গেছে। সবশেষ গত অক্টোবরে সুরমা মেইলের একটি ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আর ডেমু ট্রেনটি কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়েছে। ফলে যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও আখাউড়া থেকে পণ্য পরিবহনে খরচ বাড়ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে একাধিক ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। মানুষের যাতায়াত যত সহজ হবে তত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে।
তবে সিলেটবাসীর জন্য খুশির খবর হচ্ছে সিলেট-ঢাকা রুটে 'ননস্টপ ট্রেন' চালু হচ্ছে। আর বিশেষ বিবেচনায় শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে এই ট্রেনের যাত্রাবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।