দেশে এখন
0

মুদ্রণশিল্পে রাজনীতি ও ডলার সংকটের প্রভাব

সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে মুদ্রণশিল্পের।

তবে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন করে ১০০ কোটি টাকার কার্যাদেশ পাওয়ার আশা করছেন মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা।

ছাপাখানার বেশিরভাগ উপকরণ আমদানিনির্ভর হওয়ায় করোনার শুরু থেকে মুদ্রণশিল্পে মন্দাভাব ছিলো। এবার চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সেই মন্দাভাব আরও প্রকট করে তুলেছে। বছরের শেষভাগে কাজের চাপ থাকার কথা থাকলেও অলস সময় পার করছেন রাজধানীর মুদ্রণ শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা বলেন, এখন কাজ নেই, বেকার বসে থাকতে হয়। অল্প কিছু কাজের অর্ডার আসছে।

ব্যবসায়ারী বলেন, মৌসুমে ছাপাখানায় নিয়মিত যে অর্ডার আসতো তা অনেক কমে গেছে। এ কারণে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আর্টকার্ডের মূল্য ৪০-৪৫ শতাংশ, কালির মূল্য ৬০-৮০ শতাংশ এবং প্লেট ও গ্লুর মূল্য ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনীয়াবাত বলেন, মুদ্রণ সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এই শিল্প কাজ হারাচ্ছে। এবার বইমেলাতেও প্রকাশনার সংখ্যা কম হবে বলে জানান তিনি।

করোনা মহামারির আগে দেশে মুদ্রণশিল্পের বাজার ছিলো ১২ হাজার কোটি টাকার। করোনার পর এ শিল্পের আয়ে ভাটা পড়ে, বর্তমানে এই বাজার ৬ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেট তৈরিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা অর্ডার আসবে। আর তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে চাহিদার পুরো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: