স্বাস্থ্য
দেশে এখন
ময়মনসিংহে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে
সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক-নার্সদের

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বাড়ায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই যেনো কোথাও। কেননা শীতের শুরুতেই ময়মনসিংহে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। এ সময়ে নিউমোনিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের নানান রোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

মেঝে, বারান্দা, এমনকি লিফটে উঠার জায়গা ঘিরেও রোগীকে নিয়ে বিছানা পেতেছেন স্বজনরা ।

নবজাতক ওয়ার্ডে ঘুমিয়ে ছোট্ট শিশু সাওদা, জন্মের পর চোখ মেলে যে পৃথিবীকে সে দেখছে- তার বয়স এখন এক মাস নয় দিন। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলেও নিউমোনিয়ায় ভুগছে শিশুটি। হঠাৎ ঠান্ডা লেগে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সাওদাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন বাবা-মা।

এ হাসপাতালের ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিট শিশুদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত। শিশু ওয়ার্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুটি ওয়ার্ডে তিনটি ইউনিটে মোট ৭২ জন রোগী ভর্তির জন্য অনুমোদিত শয্যা আছে। কিন্তু প্রতিদিনই ভর্তি থাকছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী। এত রোগীর চাপ সামলাতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্সদের। ঠান্ডাজনিত কারণে শিশু মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। তবে রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। তবুও সাধ্যমত চিকিৎসা চলছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মো. জামশেদ আলম বলেন, 'আমাদের সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে সিট সংখ্যা নিয়ে। সিট সংখ্যার চেয়ে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে।'

তীব্র শয্যা সংকট থাকার পরেও সন্তানকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে কষ্ট করে মেঝেতেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন শত শত রোগী।

এদিকে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক, জ্বর, কাশির সিরাপের দামও চড়া। সংকট থাকায় বেড়েছে নেবুলাইজারের দাম।

দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি ময়মনসিংহবাসীর। প্রস্তাবিত শিশু হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছে, খুব শিগগিরই শেষ হওয়ার আশ্বাস দিলেন সিভিল সার্জন। পাশাপাশি ময়মনসিংহ হাসপাতাল থেকে রোগীর চাপ কমাতে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সেবার মান বাড়ানোর বিকল্প নেই বলেও মত দেন এই জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক।

ময়মনসিংহ বিভাগসহ আশপাশের অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে নির্ধারিত শয্যার বিপরীতে প্রায় ৪ থেকে ৫ গুণ রোগী ভর্তি থাকছে।

ও হ পা